প্রযুক্তির শব্দবিট টরেন্ট

--
বিট টরেন্ট হলো এক ধরনের পিয়ার-টু-পিয়ার ফাইল অংশীদারি প্রটোকল। বিভিন্ন ধরনের সিস্টেমের মধ্যে ব্যান্ডউইডথ না কমিয়ে ডেটা স্থানান্তরের জন্য এ প্রটোকল ব্যবহার করা হয়। যখন কোনো ফাইল ডাউনলোড করা হয়, তখন বিট টরেন্ট ব্যবস্থায় কোনো একটি কম্পিউটারের পরিবর্তে একাধিক কম্পিউটার থেকে এটিকে ডাউনলোড করে। বিট টরেন্ট প্রটোকল ব্যবহার করার জন্য বিট টরেন্ট ক্লায়েন্ট নামের একটি সফটওয়্যার প্রয়োজন পড়ে, যার মাধ্যমে এই বিট টরেন্ট নামের নেটওয়ার্কে প্রবেশ করা যায়। এ ছাড়া এই ক্লায়েন্টের মাধ্যমে কোনো ফাইল খোঁজা যায়, যা এই প্রটোকলের মাধ্যমে ডাউনলোড করা যাবে। এর একটি বিশেষ সুবিধা হলো এই বিট টরেন্টের মাধ্যমে কোনো একটি ফাইল কিছু অংশ ডাউনলোড করার পর বন্ধ রেখে আবার চালু করা যায়।
সুত্র: প্রথম আলো (জুন ৮, ২০০৮)

ছবি সম্পাদনার মুক্ত সফটওয়্যার পেইন্ট ডটনেট

সফটওয়্যারছবি সম্পাদনার মুক্ত সফটওয়্যার পেইন্ট ডটনেট ডিজিটাল ক্যামেরার ব্যবহার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কম্পিউটারে ছবি সম্পাদনার কাজও বেড়ে গেছে। অনেকেরই ধারণা, ছবি সম্পাদনা করা কঠিন এবং সময়সাপেক্ষ। কিন্তু পেইন্ট ডটনেটের সফটওয়্যার ব্যবহার করে খুব সহজেই ছবি সম্পাদনা করা যাবে। সম্পাদনা ছাড়াও অনেক কিছু করা যায়। এটি একটি মুক্ত সফটওয়্যার। তাই মুক্ত সফটওয়্যারের সব গুণ এতে আছে। মাইক্রোসফট করপোরেশনের পেইন্ট সফটওয়্যারের একটি শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী এটি।পেইন্ট ডটনেট ব্যবহার করা খুব সহজ। ব্যবহারকারীর সামনে যে চেহারায় (ইউজার ইন্টারফেস) এটি আসে, তা বেশ সহজ। এতে একসঙ্গে একাধিক ছবি সম্পাদনার জন্য আলাদা ট্যাব আছে। ট্যাবে লেখা বর্ণনার জায়গায় ছবির নমুনা (থাম্বনেইল) দেখা যায়। ফলে একাধিক ছবি নিয়ে কাজ করা যায় দ্রুত। সাধারণত পেশাদার মানের সফটওয়্যারে লেয়ার (স্তর) থাকে। কিন্তু এ সফটওয়্যারে বিভিন্ন ছবির লেয়ার তৈরি করা যায়। একটি ছবির লেয়ারগুলো যখন একসঙ্গে দেখা হবে, তখন তা স্বচ্ছ ছবির মতো দেখাবে। পেইন্ট ডটনেটের ইন্টারনেট ফোরাম আছে, যেখানে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ টিপস এবং বাড়তি প্রোগ্রাম (প্লাগইনস) পাওয়া যায়। পেইন্ট ডটনেটের হালনাগাদ খুব সহজেই যোগ করা যায়। এতে অনেক নতুন সুবিধা যোগ করা হয় এবং পুরোনো সমস্যাগুলোর সমাধান থাকে। ছবিকে উন্নত এবং পরিপূর্ণ করে তোলার জন্য এতে অনেকগুলো বিশেষ আবহ দেওয়া আছে। যেমন লাল চোখ (রেড আই), অপসারণ, ডিসরশন, নয়েজ, এমবোস ইত্যাদি। ত্রিমাত্রিক জুমের মাধ্যমে ছবি বিভিন্ন কোণ থেকে দেখা যায়। ছবির রং ঠিক করার জন্য আছে কন্ট্রাস্ট, ব্রাইটনেস, ম্যাচুরেশন, কার্ভ লেভেল। এ ছাড়া এটি দিয়ে রঙিন ছবি সাদাকালো এবং সেপিয়া রঙে পরিবর্তন করা যায়। এসব কাজ করার জন্য এতে অনেক শক্তিশালী টুল যোগ করা হয়েছে। ছবি পরিবর্তনের ইতিহাস ইচ্ছামতো রাখা যায়। ফলে অনেক আগের পরিবর্তন করা ছবি আবার প্রথম অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব। −ফেরদৌস আহমেদ তানিন
সূত্র: প্রথম আলো-কম্পিউটার প্রতিদিন-০৮-১০-০৭

নেটিজেন- উচ্চশিক্ষার্থে নেটযাত্রা

-আরাফাত সিদ্দিকী

বিশ্বের নামীদামি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য পড়তে যাওয়া আমাদের দেশের বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর স্বপ্ন। কিন্তু এ স্বপ্ন ভেঙে যেতে থাকে ভিসা অফিসে ধরনা দিতে দিতে। এ ছাড়াও লাগে মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানের সহায়তা। কোন সংস্থা সত্যিই ভর্তি করিয়ে দিতে পারবে, তার নিশ্চয়তা কে দেয়! এত কিছুর পরও যাঁরা পাড়ি দিতে পারেন স্বপ্নের দেশে, তাঁদের মধ্যেও উচ্চশিক্ষা খুব কম শিক্ষার্থীর কপালেই জোটে। তাঁদের বেশির ভাগই উচ্চশিক্ষা গ্রহণের অনেক আগেই ঝরে পড়েন। জীবিকার তাগিদে জড়িয়ে পড়েন বিভিন্ন অড জবে। আর শেষ পর্যন্ত যাঁরা টিকে থাকেন, তাঁদেরও কাজের ফাঁকে এক বছরের কোর্স শেষ করতে সময় লাগে তিন থেকে চার বছর।

এসব শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষার চাহিদা পূরণ করতেই বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো চালু হয়েছে ইন্টারনেটভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি টুয়েন্টি ওয়ান গ্লোবাল। পৃথিবীর আরও ৬০টি দেশকে সঙ্গে নিয়ে ২০০১ সাল থেকে প্রথম চালু হয় এ বিশ্ববিদ্যালয়।

সম্প্রতি বাংলাদেশেও শুরু হয় এর পথচলা। যেসব শিক্ষার্থী বিভিন্ন সমস্যার কারণে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যেতে পারেন না, তাঁদের লক্ষ করেই শুরু হয়েছে এ কার্যক্রম। পৃথিবীর নানা দেশের ২১টি খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ে গঠিত এ ইউ২১-এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই পাবে উচ্চশিক্ষার সুযোগ। এতে অনলাইনে শিক্ষার্থীরা নিতে পারবে ব্যবসায় প্রশাসন, এমআইএস ও পর্যটনএ তিনটি বিষয়ে স্মাতকোত্তর কোর্স, পাঁচটি ডিপ্লোমা কোর্স ও করপোরেট প্রশিক্ষণের আওতায় ৭০টি সার্টিফিকেশন কোর্স। যৌথভাবে এসব ডিগ্রী দেবে ২১টি বিশ্ববিদ্যালয়। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে উত্তর আমেরিকার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়, ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, মেক্সিকান বিশ্ববিদ্যালয়, টেকনোলজিকো দ্য মন্টারি, ইউরোপের গ্লাস গো বিশ্ববিদ্যালয়, নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়, এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়, বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি কলেজ ডাবলিন, লর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়, কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়, মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়, অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়, এশিয়ার সিঙ্গাপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, কোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়, সাংহাই জিয়াউ টঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়, হংকং বিশ্ববিদ্যালয়এবং ওয়েসেদা ইউনিভার্সিটি।

এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য সাধারণত একজন শিক্ষার্থীকে ব্যয় করতে হয় ২০ থেকে ৩০ হাজার ডলার। কিন্তু অনলাইনে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের সমমানের কোর্স শেষ করা যাবে ৫০০ থেকে সর্বোচ্চ ১০ হাজার ডলারের মধ্যে। অনলাইনে এমবিএ ও এমআইএস কোর্স করতে খরচ পড়বে সাত থেকে দশ হাজার ডলার, বিভিন্ন ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন করা যাবে দুই থেকে সাত হাজার ডলারের মধ্যে, বিভিন্ন সার্টিফিকেশন কোর্স করতে সর্বোচ্চ ব্যয় হবে ৫০০ থেকে এক হাজার ডলার। এ ছাড়া মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে বৃত্তির সুযোগ।

পেশাবিষয়ক বাংলাদেশী ওয়েব পোর্টাল এইম ইন লাইফ ইউনিভার্সিটি টুয়েন্টি ওয়ান গ্লোবাল বাংলাদেশের জন্য চালু করেছে, জ্ঞান তাপস ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ মেধা বৃত্তি। এ বৃত্তির মাধ্যমে প্রতিবছর দশজন শিক্ষার্থী যেকোনো একটি কোর্স করতে পারবেন বিনা খরচে।সেই সঙ্গে আগামী বছর থেকে নারীদের উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী করে তোলার জন্য শুধু নারী শিক্ষার্থীদের জন্য মাস্টার কার্ডের সৌজন্যে চালু হচ্ছে নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে মাস্টার্স ইন ট্রাভেল অ্যান্ড টুরিজম কোর্সের ওপর ৫০ শতাংশ ছাড় সুবিধা। অনলাইনে এ উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীর ন্যুনতম যেসব যোগ্যতা প্রয়োজন তা হলো, এমবিএ ও এমআইএস কোর্সের ক্ষেত্রে গ্রাজুয়েশন ও আইএলটিএস পরীক্ষায় ন্যুনতম পাঁচ পয়েন্ট, ডিপ্লোমার ক্ষেত্রে এইচএসসি বা সমমান পাসের সনদ। বিভিন্ন সার্টিফিকেশন কোর্সের ক্ষেত্রে এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

কেমন হবে এসব কোর্সের সার্টিফিকেটের মূল্যমান?

এমন প্রশ্নের জবাবে জনপ্রিয় জবসাইট এইম ইন লাইফের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কমকর্তা এম শোয়েব চৌধুরী জানান, এসব কোর্সের সনদপত্রের মূল্যমান নিঃসন্দেহে বিশ্বমানের। কেননা, ইউনিভার্সিটি টুয়েন্টি ওয়ান গ্লোবালের সঙ্গে যেসব বিশ্ববিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, তাদের পাঠক্রম আমাদের অনেক আধুনিক ও কার্যকর। এ ছাড়া এখানে শুধু আবেদন করে টাকা জমা দিলেই সনদপত্র পাওয়া যায় না। কোর্স শেষ করতে হলে প্রয়োজন বিশ্বের ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ে গঠিত একটি নির্দিষ্ট সিলেবাসের আওতায় নির্দিষ্ট সময়ের পড়াশোনা। এখানে অনলাইনে সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়ে থাকে। কোনো কোর্সের কোনো অংশ যদি শিক্ষার্থী অনলাইনে বুঝতে না পারে, তাহলে রয়েছে ২৪ ঘণ্টা কলসেন্টারের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কোর্সগুলোর ওপর সংক্ষিপ্ত আলোচনার ব্যবস্থা। এই গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাফল্য আশা করে তিনি বলেন, ‘উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের দেশে এই অনলাইন বিশ্ববিদ্যালয় একটি মাইলফলক হিসেবে স্থাপিত হবে। জ্ঞানভিত্তিক বিশ্বের অর্থবাজারে আমাদের শিক্ষার্থীদের টিকে থাকার ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে। সেই সঙ্গে প্রতিবছর সাশ্রয় করবে গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক মুদ্রা।

ইউনিভার্সিটি টুয়েন্টি ওয়ান গ্লোবাল’-এ আবেদন করতে বা এর সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে www.u21global.com ঠিকানার ওয়েবসাইট থেকে। ফোন: ৮৮৩২১০৬।

-সূত্র: প্রথমআলো - প্রজন্ম ডটকম-২৮.০৯.০৭

বিনা তারে চালান কম্পিউটার

--জাবেদ সুলতান পিয়াস

অফিসের কাজে মন বসছিল না। একটু তাড়াতাড়িই বাসায় ফিরে এলেন। বাইরের আবহাওয়াও একটু অন্যরকম। বাসায় এসেই গা এলিয়ে দিলেন বিছানায়। কম্পিউটারে বাজছে আপনার প্রিয় রবীন্দ্রসংগীত। এমন সময় বিশেষ একটি গানের জন্য অপেক্ষা করছেন আপনি। কিন্তু ওই গানটি নির্বাচন করে দিয়ে আসতে বিছানা থেকে উঠতে ইচ্ছে করছে না। কম্পিউটারের প্রতি তখন একটু বিরক্তই আপনি। ধ্যাৎ, এর চেয়ে সেই সিডি প্লেয়ারটাই ভালো ছিল। দুর নিয়ন্ত্রক যন্ত্র দিয়ে (রিমোট কন্ট্রোল) আপনার সঙ্গে ইচ্ছের তাল মেলাত সেটি। আচ্ছা, কম্পিটারে এমন একটি রিমোট কন্ট্রোল যন্ত্র থাকলে কী এমন অন্যায় হতো, ভেবেই হাসলেন একটু। এও হয় নাকি? কম্পিউটারের এতশত কাজ করতে তাহলে সেই যন্ত্রে কত হাজার বোতাম থাকতে হবে? এই ভেবে কম্পিউটারের প্রতি অভিমানটা আরেকটু বাড়িয়ে কখন যে ঘুমিয়ে পড়লেন! খানিক পর সেই গানটি বাজল ঠিকই, আপনার আর শোনা হলো না। নাহ্, এমনটি আর হবে না। কম্পিউটারের প্রতি বিরক্ত হওয়ারও কারণ নেই। কম্পিউটারেরও দুর নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। আর সেটি হতে পারে আপনার মুঠোফোনেই।

কম্পিউটার চলবে এখন আপনার হাতের ইশারায়। কি-বোর্ড আর মাউস ধরতে হবে না। যা চান, দুর থেকেই করতে পারবেন। কম্পিউটারের পুরো নিয়ন্ত্রণ থাকবে হাতের মুঠোয়। তারহীন ব্লুটুথ প্রযুক্তি দিয়েই দুর থেকে কম্পিউটারের প্রায় সব কাজ নিয়ন্ত্রণ করবে আপনার মোবাইল ফোনটি। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কম্পিউটারের দুর নিয়ন্ত্রণের এমন চমকপ্রদ একটি প্রযুক্তি উাবন করেছেন দেশের একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের তরুণ প্রযুক্তিবিদেরা। এই প্রযুক্তি হাতের নাগালে এনেছে গবেষণাভিত্তিক ইলেকট্রনিক্স ও সফটওয়্যার উন্নয়নে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান পাই ল্যাবস। পাই ল্যাবসের অধীনে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার কৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাহমুদুল আলম দীপু এবং শাহরিয়ার ইকবাল। পাই ল্যাবস এই প্রযুক্তিটির নাম দেওয়া হয়েছে ব্লু ম্যাজিক।

প্রযুক্তির জাদু

টিভি সেটের গায়ে সাঁটা নিয়ন্ত্রণ বোতাম দিয়ে সব কাজ করা গেলেও এর দুর নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রটি (রিমোট কন্ট্রোল) ছাড়া যেন আমাদের চলে না। এহেন প্রযুক্তি সেবার মাধ্যমে জীবনকে আরেকটু সহজ আর উপভোগ্য করতেই আমাদের এই দেশি প্রযুক্তি, ব্লু ম্যাজিক। এটি কম্পিউটারের প্রায় সব কাজ বিশেষ করে বিনোদনের সব প্রোগ্রামকে দুর থেকে নিয়ন্ত্রণের সুবিধা দেবে। আয়েশ করে দুর থেকেই শুয়ে-বসে মুঠোফোন দিয়ে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণকরতে পারবেন। মুঠোফোনের বোতাম দিয়ে পরের গানটিতে যাওয়া, শব্দ নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে ডিভিডির গানের কিংবা সিনেমার তালিকা নির্বাচন সবই সম্ভব এটি দিয়ে।

ব্লু ম্যাজিক

মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কম্পিউটারের দুর নিয়ন্ত্রণে যন্ত্রাংশ ও সফটওয়্যারের একটি পরিপূর্ণ সমাধান ব্লু ম্যাজিক। এর যান্ত্রিক অংশেআছে পেনড্রাইভের মতো দেখতে একটি ইউএসবি ব্লুটুথ অ্যাডাপ্টর। আর আছে দুটি সফটওয়্যার ব্লুটুথ পিসি কন্ট্রোলার ও ব্লু ম্যাজিক ফোন ক্লায়েন্ট।

ব্লুটুথ পিসি কন্ট্রোলার সফটওয়্যারটি কম্পিউটারে ইনস্টল করতে হয়। আর ব্লুটুথ প্রযুক্তির সুবিধা আছে এমন মোবাইল ফোন সেটে দুর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাটি কার্যকর করতে হ্যান্ডসেটটিতে ব্লু ম্যাজিক ফোন ক্লায়েন্ট সফটওয়্যারটি ইনস্টল করতে হয়। তবে এ ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনসেটটি কম্পিউটারে দুর নিয়ন্ত্রণের ব্লুটুথ প্রযুক্তি সমর্থন করতে হবে। কম্পিউটারের চারপাশে ১০০ মিটারের মধ্যে আপনি যেখানেই থাকুন না কেন, ব্লু ম্যাজিকের সাহায্যে আপনি আপনার কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। এই সফটওয়্যার দিয়ে দুর থেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন প্রায় সব ধরনের মাল্টিমিডিয়া সফটওয়্যারসহ উইন্ডোজ পাওয়ার পয়েন্ট, অ্যাডোবি অ্যাক্রোব্যাট রিডারসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যার ও কম্পিউটার প্রোগামের। সেই সঙ্গে আপনার ইচ্ছেমতো যেকোনো প্রোগ্রামের তালিকা তৈরির ব্যবস্থাও আছে এখানে। রয়েছে কম্পিউটারের ডেস্কটপে অবাধ নিয়ন্ত্রণ। ফাইল খোলা-বন্ধ থেকে শুরু করে যেকোনো প্রোগ্রাম চালানো, কম্পিউটার বন্ধ, আবার চালু করা বা সেটিকে ঘুম পাড়িয়ে দেওয়া (হাইবারনেট)সবই করা সম্ভব দুর থেকে মোবাইল ফোন দিয়ে।

আমাদের সহজ প্রযুক্তি

তারহীন যোগাযোগের সহজ মাধ্যম হলেও ব্লুটুথ সুবিধা আছে এমন যন্ত্রাংশের একটা বড় অসুবিধা হলো এদের জন্য সর্বজনীন কোনো যন্ত্র নেই।এ ছাড়া সব ধরনের ব্লুটুথ যন্ত্রাংশ সমর্থন করার মতো সফটওয়্যারও নেই বাজারে। এ ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময় দেখা যায় যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তৈরি যন্ত্র চালাতে তাদের নির্দিষ্ট সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হয়। পাই ল্যাবসের ব্লুটুথ পিসি কন্ট্রোলার সফটওয়্যারটি এ সমস্যার সমাধান করবে। শুধু কম্পিউটার আর মোবাইল ফোনের মধ্যেই নয়, ব্লু ম্যাজিক ব্লুটুথ প্রযুক্তির যেকোনো দুটি যন্ত্রাংশের মধ্যে আন্তসংযোগের কাজটি করতে পারবে।

এ সম্পর্কে উদ্ভাবক দলের শাহরিয়ার ইকবাল বলেন, ‘ব্লু ম্যাজিক ব্লুটুথ প্রযুক্তি সমর্থিত বিভিন্ন যন্ত্রাংশের জন্য একটি সাধারণ সমাধান। এর ব্যবহার পদ্ধতিও খুব সহজ। এই সফটওয়্যার ও যন্ত্রটি দিয়ে যে কেউ ইচ্ছে করলে তার জীবনে প্রযুক্তি ব্যবহারের গতি বাড়িয়ে দিতে পারে অনেকাংশে।ব্লু ম্যাজিকে ব্লুটুথ পিসি কন্ট্রোলার ও ব্লু ম্যাজিক ফোন ক্লায়েন্ট সফটওয়্যার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস (এপিআই)।

কম্পিউটারের দুর নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ব্লু ম্যাজিক দিয়ে কম্পিউটার ও মোবাইলের মধ্যে সব ধরনের তথ্য আদান-প্রদান করার সুবিধা পাওয়া যাবে। এর সাহায্যে তারহীন অবস্থাতেই মোবাইল ফোনসেটকে জিপিআরএস কিংবা এজ মডেম হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। সর্বোপরি দুটি ব্লুটুথ সমর্থক যন্ত্রাংশের মধ্যেকার পরিপূর্ণ এবং উভমুখী যোগাযোগ মাধ্যম এটি। তাই মোবাইল ফোন থেকে যেমন কম্পিউটারের কিছু প্রোগ্রাম নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তেমনি কম্পিউটারের সাহায্যে মোবাইল ফোনের কিছু অংশেরও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব এই ব্লু ম্যাজিক দিয়ে। কম্পিউটার থেকে লিখে মোবাইল ফোনের হয়ে সহজে সংক্ষিপ্ত বার্তা (এসএমএস) লেখা সম্ভব এটি দিয়ে।

আমাদের প্রযুক্তি, আমাদের বাজার

বাংলাদেশের তরুণ প্রযুক্তিবিদদের হাত ধরে সম্ভাবনাময় প্রযুক্তির অনেক উজ্জ্বল আভা দেখেছি আমরা। এমন নয় যে এগুলো সব গোপন থেকেছে। তরুণ প্রযুক্তিবিদদের এসব সম্ভাবনার প্রচারও কম হয়নি। নতুন প্রযুক্তির এসব সাফল্যগাথা ফলাও করে প্রচার হয়েছে গণমাধ্যমে। এসব প্রযুক্তির গুণগান, বাণিজ্যিক উৎপাদন আর প্রযুক্তির মধ্য দিয়ে আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তির গান গাইতে গাইতে মুখে ফেনা এসে গেছে আমাদের গঠনমূলক সমালোচকদের। চারদিকে বাহবা পড়ে গেছে। কয়দিন খুব প্রশংসা, খুব মাতামাতি। কিন্তু এই হাততালি থেমে গেলে সেই সম্ভাবনাকে কেউ খুঁজতে যায়নি। এসব প্রযুক্তির মধ্যে আলোর মুখ দেখেছে এমন সংখ্যা নগণ্য। এটাই আমাদের ব্যর্থতা। আমাদের প্রতিভা আছে, কিন্তু সুযোগ নেই। প্রযুক্তির এসব সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর ঝুঁকি নিতে অভ্যস্ত নই আমরা, আমাদের উদ্যোক্তারা। বিশ্ববাজার তো অনেক দুরে, নিজস্ব প্রযুক্তি পণ্যে নিজেদের বাজার ধরে রাখার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায়। এমন শত শত ফিকে হওয়া স্বপ্নের ব্যতিক্রম এই ব্লু ম্যাজিক। তরুণ প্রযুক্তিবিদদের হাত ধরে আসা ব্লু ম্যাজিক বাণিজ্যিকভাবে ছাড়া হচ্ছে।তবে তরুণ এই উদ্ভাবকদের স্বপ্নকে এমন পরিপূর্ণ রূপ দেওয়ার পেছনে আছে আরেক দল মুক্তমনা তরুণ উদ্যোক্তার গল্প, স্বয়ংসম্পুর্ণ একটি প্রযুক্তি বাজারে নিজেদের জায়গা করে নিতে যাঁরা ঝুঁকি নিতে জানেন। এ গল্প পাই ল্যাবসের (www.pilabs.org) । বুয়েট থেকে পাস করা তিন মেধাবী তরুণ প্রকৌশলীর স্বপ্নের ফসল দেশীয় এই প্রযুক্তি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এ সম্পর্কে পাই ল্যাবসের অন্যতম উদ্যোক্তা ও পরিচালক প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান সোহাগ বলেন, ‘প্রযুক্তির কথা আমরা অনেক বলি। নতুন নতুন সেবায় আমাদের প্রযুক্তি বাজারও বড় হচ্ছে দিন দিন। সেই সঙ্গে বিরাট এই বাজারও আমাদের হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। আমাদের প্রযুক্তি যে নেই তাও নয়, তবে বিদেশি পণ্যের জাঁকজমক বিচরণে আমরা পিছিয়ে যেতে বাধ্য হই। তবে এ অবস্থা চলতে থাকলে প্রযুক্তির মাধ্যমে আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন দিন দিন দুরে চলে যাবে। আর নিজেদের প্রযুক্তি বাজারে আধিপত্য ধরে রাখতে ঝুঁকি নিতে হবে। সেই সঙ্গে এসব উদ্যোক্তাকে সাহস দেওয়ার দায়িত্বটি থেকে যায় আমাদের ভোক্তাদের কাছেই। দেশীয় পণ্যের বিকাশে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে।

বাজারে ছাড়া হয়েছে ব্লু ম্যাজিক। হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের এই পরিপূর্ণ প্যাকেজটির দাম রাখা হয়েছে ৪৯৫ টাকা। প্রাথমিকভাবে এটি পাওয়া যাচ্ছে ঢাকার বিসিএস কম্পিউটার সিটির দোতলায় সান কম্পিউটার সুপার স্টোরে। শিগগির সারা দেশে এটি পাওয়া যাবে বলে জানায় পাই ল্যাবস কর্তৃপক্ষ। ইন্টারনেটভিত্তিক একটি ফোরামের (www.pilabs.org/bluemagic) মাধ্যমে পাই ল্যাবস ব্লু ম্যাজিক ব্যবহারকারীদের অনলাইন গ্রাহকসেবা দিচ্ছে।

-সূত্র: প্রথম আলো- প্রজন্ম ডট কম- ২৮.০৯.০৭

গ্রাফিক্স টিপস

বর্তমান বিশ্বে প্রফেশনাল বিভিন্ন কাজে গ্রাফিক্সের ভূমিকা অপরিসীম। কোন কাজই গ্রাফিক্স ছাড়া আজকাল সম্পূর্ণ বলে ধরে নেয়া হয় না। সিসটেক পাবলিককেশন্স থেকে তাই গ্রাফিক্স টিপস নামে একটি বই বের হয়েছে যার লেখক বশীর মাহমুদ ইলিয়াস। যারা নিজে নিজে গ্রাফিক্সের বিভিন্ন সফটওয়্যার দক্ষতার সাথে শিখতে চান তাদের জন্য বইটি কাজে লাগবে। এতে গ্রাফিক্সর বহুল ব্যবহৃত সফটওয়্যার এডোবি ফটোশপ, এডোবি ইলাস্ট্রেটর, কোয়ার্ক এক্সপ্রেস ইত্যাদির খুঁটিনাটি বিষয় আলোচনা করা হয়েছে। ডিজাইনের বিভিন্ন সফটওয়্যারের বিভিন্ন মেন্যু এবং টুল ব্যবহার করে সাধারণ অনেক কাজ করা যায়। কিন্তু অভ্যন্তরীণ অনেক কমান্ড রয়েছে যে গুলো ব্যবহার করে অনেক জটিল কাজ অনায়াসে করা যায়। এ সব কমান্ডসমূহের ব্যবহার সচরাচর কোন বইয়ে উল্লেখ থাকে না যা এখানে দেখানো হয়েছে। সফটওয়্যারের অনেক কমান্ড জানা সত্ত্বেও দেখা যায় ছোট একটি বিষয়ের প্রয়োগ জানা না থাকার কারণে কাজটি অসম্পূর্ণ থেকে যায়। যা এখানে বলা হয়েছে। বিখ্যাত সব গ্রাফিক্সের সফটওয়্যারের সহায়ক অনেক ছোট ছোট সফটওয়্যার রয়েছে যেগুলো সহজেই ব্যবহারের মাধ্যমে অনেক বড় বড় কাজ করা যায় অথচ মূল গ্রাফিক্সের সফটওয়্যারের মাধ্যমে এ ধরনের কাজ অনেক সময় সাপেক্ষ ও জটিল। এই বইয়ে এ ধরনের সহায়ক সফটওয়্যারের ব্যবহার দেখানো হয়েছে। রয়েছে গ্রাফিক্স সংক্রান্ত অনেক টিপস। ১৮০ টাকা মূল্যের এই বইটি সর্বত্র পাওয়া যাচ্ছে।

-সূত্র: ইত্তেফাক – আইটি কর্নার – ২০-০৯-০৭

মোবাইলের ফাইল দ্রুত ট্রান্সফার প্রযুক্তি

-হাসান জাকির

সেল ফোনের মাধ্যমে বড় আকারের ফাইল শেয়ার করতে গেলে বেশ ঝক্কি পোহাতে হয়। অধিক সময় ব্যয় এবং বিভিন্ন কোম্পানির ফোন সেটে ফাইল শেয়ারিংয়ে প্রায়ই সাপোর্ট করে না। গ্রাহকদের এ ঝামেলা থেকে মুক্তি দিতে বিশ্বের তিন শীর্ষ সেল ফোন নির্মাতা কোম্পানি নকিয়া, সনি এরিকসন এবং স্যামসাং একসঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী ডেটা সহজে ট্রান্সফার করার জন্য ইউনিভার্সেল ফ্লাশ মেমোরি কার্ড নামের একটি ডিভাইস যৌথভাবে তৈরি করবে তারা। এই মেমোরি কার্ড এমন স্ট্যান্ডার্ডে তৈরি হবে যা তিনটি অপারেটরের ফোন সেটকেই সমর্থন করে। এই কার্ডের বড় সুবিধা হচ্ছে ৪ গিগাবাইট পরিমাণ ফাইল মাত্র তিন মিনিটের মধ্যে অনায়াসে ট্রান্সফার করতে সক্ষম হবে। কোম্পানিগুলো এই মেমোরি কার্ড নির্মাণের জন্য মাইক্রন টেকনোলজি, স্প্যানসান, এসটি মাইক্রো ইলেকট্রনিক্স এবং টেক্সাস ইন্সট্র-মেন্টের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। ইউনিভার্সেল ফ্লাশ স্টোরেজ মেমোরি কার্ড ফোন সেট ছাড়াও এই তিন কোম্পানির অন্যান্য ইলেকট্রনিক পণ্যে ব্যবহার করা যাবে। এ ডিভাইস সম্পর্কে নকিয়ার টেকনোলজি প্লাটফর্মের ভাইস প্রেসিডেন্ট সেপো ল্যামবার্গ জানান, এটা গ্রাহকদের দীর্ঘদিনের চাহিদা পূরণে সক্ষম হবে এবং ডেটা ট্রান্সভাবে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে। ২০০৯ সালের শুরুতেই এটি বাজারজাতের আশা করছে কর্তৃপক্ষ।

-সুত্র: যুগান্তর - আইটি বিশ্ব - ২০-০৯-০৭

কম খরচে মানসম্পন্ন ওয়েবসাইট

কম খরচে মানসম্পন্ন ওয়েবসাইট ও সফটওয়্যার তৈরির বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে ইটেক সিস্টেমস। এ প্যাকেজের আওতায় বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল ও সেচ্ছাসেবী এনজিওদের জন্য অত্যন্ত কম খরচে ওয়েবসাইট ও একাউন্টিং সফটওয়্যার তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইটেক সিস্টেমস। এছাড়া ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নাম মাত্র মূল্যে ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন ও হোস্টিং এর সুবিধা দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। যোগাযোগ ঃ ইটেক সিস্টেমস, ২০৪, গুলশান শপিং সেন্টার (৫ম তলা), গুলশান-১, ঢাকা-১২১২। ফোন ঃ ০১৫৬৩৩৫৯০০।

-সূত্র: ইত্তেফাক - আইটি কর্নার - ২০-০৯-০৭